ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ এর ১৮তম বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের নয়াদিল্লি পৌছেঁছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এর আগে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা করে। বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সফর নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘জি-২০ লিডারস সামিটে’ যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে। দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হতে পারে। সমঝোতা স্মারকগুলো হলো ‘কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা’, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময়’ এবং ‘দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে লেনদেনের সরলীকরণ’। ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের সভাপতিত্বের জি-২০ এর এই মেয়াদে বাংলাদেশসহ মোট নয়টি দেশকে জি-২০ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানায় ভারত। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। জি-২০ সম্মেলন শুরুর পর ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর ওপর দুটি ভাষণ দেবেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ১০ সেপ্টেম্বর, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে অংশ নেবেন। ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন।
Discussion about this post