স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ। মিরাজ-শান্তর সেঞ্চুরির পর তাসকিন-শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিল টাইগাররা। এর ফলে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে উঠার দৌঁড়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রইল সাকিব বাহিনী। এদিন ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান তুলে বাংলাদেশ দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৪৫ রানে থেমে যায় আফগানদের ইনিংস। হাই-স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে হারায় আফগানিস্তান। শরিফুলের বলে আউট হওয়ার আগে ১ রান করেন গুরবাজ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৭৮ রান। ৫৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন রহমত শাহ। এদিকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলনেতা হাসমতউল্লাহ শহিদিকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। দুজনই অর্ধশতক তুলে নেন। ৭৪ বলে ৭৫ রানে আউট হন ইব্রাহিম। আর ৬০ বলে ৫১ রান করেন শহিদি। নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এছাড়া গুলবাদিন ১৫, করিম ১, নবি ৩, মুজিব ৪ ও রশিদ খান ২৪ রান করেন। আর ১ রানে অপরাজিত থাকেন ফজলহক ফারুকি। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। শরিফুল ইসলাম নেন তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও হাসান মাহমুদ। এর আগে লাহোরে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি দলনেতা সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম ১০ ওভারে দুজন মিলে তোলেন ৬০ রান। ৩২ বলে ২৮ রান করে আউট হন নাঈম। দ্বিতীয় উইকেটে নেমে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ২ বল খেলে কোনো রান তুলতে পারেননি তিনি। তবে তৃতীয় উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাট করে যান ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও বাঁ-হাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজন মিলে গড়েন অপ্রতিরোধ্য ১৯৪ রানের জুটি। দুজনই ফিফটি পূরণের পর সেঞ্চুরিও তুলে নেন। ১১৯ বলে ১১২ রানে রিটাইয়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান মিরাজ। আর রান আউট হওয়ার আগে ১০৫ বলে ১০৪ রান করেন শান্ত। এদিকে ১৫ বলে ২৫ রান করে রান আউট হন মুশফিকুর রহিম। অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারি করেন ৬ বলে ১০ রান। আর ১৮ বলে ৩২ রানে সাকিব ও ৩ বলে ৪ রানে আফিফ অপরাজিত থাকেন।
Discussion about this post