ঢাকা: হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, ‘এদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। দেশের সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রজন্ম ঐক্যমঞ্চ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সম্মানিত করতে যা যা করণীয় তা করছেন শেখ হাসিনা। আর মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন। যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের পুনর্বাসিত করেছেন জিয়া। আর খালেদা জিয়া তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। পরাজয়ের ভয়েই তারা ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল। পরে নিবন্ধন বাতিলের ভয়ে ১৮ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণের নামে মনোনয়ন বাণিজ্যে লিপ্ত ছিল। তারা আগামী নির্বাচন ঠেকানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।’ ‘যারা গণতন্ত্রের নামে নির্বাচন ঠেকাতে চায় এদেশের জনগণ তাদের প্রতিহত করবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির উদ্দেশে উপমন্ত্রী শামীম বলেন, ‘বিএনপির উচিত নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়া। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়।’ ‘বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতা দখল করা জিয়াউর রহমানের দল আর কেমন হবে? ক্ষমতায় আসতে জনগণের কাছে যান। ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ ও সম্পদ লুণ্ঠন করেছেন। আর ক্ষমতায় আসতে না পেরে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছেন, মাফ চান।’ বলেন তিনি। বিএনপিকে এদেশের মানুষ আর কোনোদিন ক্ষমতায় আনবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদেশের জনগণ উন্নয়নে বিশ্বাসী। কোনো বিদেশি প্রভু এদেশের ক্ষমতার সনদ বদল করাতে পারবে না। এদেশের জনগণের ভোটেই একমাত্র ক্ষমতার পরিবর্তন হতে পারে, অন্যথায় নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণীত হয়েছে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ নির্বাচনি ব্যবস্থার সার্বিক সক্ষমতা বেড়েছে। বর্তমান সরকারের নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে কয়টি নির্বাচন হয়েছে, তা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্যে দেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জহির সিকদার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মানিক লাল ঘোষ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান আজম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিল্টন, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
Discussion about this post