আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চাঁদ জয়ের মাত্র ১০ দিন পর ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) সূর্য নিয়ে গবেষণার জন্য প্রথমবারের মতো সূর্য অভিমুখে সফলভাবে মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আরও একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো ভারত। অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে এটির যাত্রা শুরু হয়। আদিত্য-এল১ নামের মহাকাশযানটি ইসরোর পিএসএলভি রকেটের সাহায্যে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই রকেট আদিত্য-এল১-কে পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১ (এল-১)–এর কাছে হালো কক্ষপথে পৌঁছে দেবে। সেখান থেকেই গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করবে মহাকাশযানটি, পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার। ইসরো বলছে, মহাকাশ যানটিকে এই কক্ষপথে স্থাপনের বড় সুবিধা হলো, সেখান থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সব সময় সূর্যের বিভিন্ন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এ ছাড়া মহাকাশের পরিবেশের ওপর সূর্যের প্রভাব সম্পর্কে জানা যাবে। সূর্য নিয়ে গবেষণায় এটিই ইসরোর প্রথম অভিযান। সংস্থার প্রধান এস সোমনাথ গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘আদিত্য-এল১ মহাকাশযানটি সূর্যের ওপর গবেষণা চালাবে। এল-১ পয়েন্টে (পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী জায়গা) পৌঁছাতে এটি ১২৫ দিন সময় নেবে। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ উৎক্ষেপণ। আমরা এখনো চন্দ্রযান-৪-এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিইনি, শিগগিরই আমরা তা ঘোষণা করব। আদিত্য-এল১-এর ভারত যে নভোযান উৎক্ষেপণ করবে, তার নাম গগনযান। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।’ ভারতের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করে ইসরো। আদিত্য-এল১-এর মুখ্য অংশটির নাম দ্য ভিজিবল এমিশন লাইন করোনাগ্রাফ (ভিউএলসি)। এটি স্থলভাগের নিয়ন্ত্রণকক্ষে গবেষণার জন্য প্রতিদিন ১ হাজার ৪৪০টি স্থিরচিত্র পাঠাবে। সূর্য নিয়ে গবেষণা করতে ভিইএলসিতে সাতটি বিশেষ অংশ (পে লোড) থাকবে। এর মধ্যে চারটি অংশ সূর্যের আলো পর্যবেক্ষণ করবে। অপর তিনটি অংশ প্লাজমা ও চৌম্বকক্ষেত্র-সংক্রান্ত পরিমাপগুলো করবে। গত ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’।
Discussion about this post