ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর যে কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৩ মে) চলমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের সাইড লাইনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি, গ্লোবাল কোভ্যাক্স ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদানসহ ভ্যাক্সিন পরিবহন, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। যুক্তরাষ্ট্রের হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি হ্যাভিয়ার বে’চারা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর মত মহামারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতামূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন। জবাবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ন্যায্যতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অধিকতর উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসাথে কাজ করবে মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন। এ ছাড়াও, তারা স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা এবং মহামারি অতি দ্রুততার সঙ্গে মোকাবিলায় জেনেটিক ইনফরমেশন শেয়ারিং, ভ্যাক্সিন শেয়ারিং এবং মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে তা সারা বিশ্বে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি/সমঝোতা ফলপ্রসূ হতে পারে মর্মে একমত পোষণ করেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী একই দিনে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আরেকটি বৈঠক করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেক্রেটারির পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, ইউএসএইড, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর উচ্চ বিষয়ক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এর পাশাপাশি জেনেভাস্থ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post