ঢাকা: ২৩ শে মে নোঙর আয়োজিত আলোচনা সভায় নোঙর বাংলাদেশ এ-র চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন শামস এই দাবি জানান। আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্যতে নৌ নিরাপত্তা দিবসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে নদী মাতৃক বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে নদী রক্ষায় করনীয় বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শামস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম পি( নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়) প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পঞ্চাশ বছরে মহান মুক্তিযুদ্ধে নদীর অবদান নিয়ে কোনো নাটক, গল্প কিংবা সিনেমা হয় নি। অথচ মহান মুক্তিযুদ্ধে নদীর ভূমিকা অপরিসীম এবং অনস্বীকার্য। বরাবরই নদী অবহেলিত ছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেই প্রথমে নদীর উন্নয়নে নজর দেন। সাড়ে তিন বছরে বি আই ডাব্লিউ টি এ গঠন করেন এবং সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেন। দু:খজনক হলেও সত্য ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই ড্রেজার সংখ্যা আট হয় নি। ১৯৭৫ পরবর্তী এই সরকারের সময় ৪৫ টি ড্রেজার কাজ করছে এবং আরো ৩৫ টি নতুন সংযুক্ত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনাতে দখল মুক্ত ঢাকা প্রাধান্য পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ক্রমে ১০,০০০ কি.মি. নদীপথের কার্য্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী দেশের প্রাণ। নদী বাঁচলেই দেশ বাঁচবে তা-ই এই বিষয়ে তাঁর মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্স গ্রহন করেছে। তবে নৌ নিরাপত্তা দিবসের বিষয় টি একটি রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়া। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয় টি সরকারের কাছে উপস্থাপন করবেন বলে আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার ( মহা পরিচালক, অতি: সচিব বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট), জনাব তোফায়েল আহমেদ ( বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নদী গবেষক), জনাব মিহির বিশ্বাস (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক -বাপা), নৌ স্থপতি মো: শামসুল আলম (ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেরিন, অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার (বিভাগীয় প্রধান স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা (চেয়ারম্যান বিআইডাব্লিউটিএ)। তিনি নৌ নিরাপত্তা আইন সহ সমসাময়িক নানা তথ্য তুলে ধরেন। অন্যান্য সকল পরিবেশ বান্ধব সংগঠনেরা নৌ নিরাপত্তা দিবসের প্রস্তাবের দাবির সমর্থন করেন।
Discussion about this post