স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসি-নেইমারদের অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও কি টের পেয়েছিল তাদের ক্লাব সতীর্থরা? অবশ্য অ্যাঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথমার্ধ্বে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধ্বে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। ঘরের মাঠে শুক্রবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে প্যারিস জায়ান্ট পিএসজি। অ্যাঞ্জার্সের অ্যাঞ্জেলো ফুলগিনির গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দানিলো পেরেইরায় সমতায় ফেরে প্যারিসের দলটি। পরে শেষ সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন কিলিয়ান এমবাপে। বিরতি শেষে ফেরার ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ছিল পিএসজি। ৭৩ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের লক্ষ্যে শট নিয়েছিল ১৩টি, এর মাঝে টার্গেটে ছিল দুটি। বিপরীতে অ্যাঞ্জার্সের ৭টি শটের দুটি ছিলো টার্গেটে। দারুণ জয়ে গত ম্যাচে রেনেসের কাছে হারের স্বাদ পাওয়া পিএসজি ১০ ম্যাচে ৯ জয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে সবার ওপরে। দুইয়ে থাকা লেন্সের ৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। সেরা চারে ১০ ম্যাচে ৪টি করে জয় ও ড্রয়ের পাশাপাশি ২ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে অ্যাঞ্জার্স। প্রথমার্ধ্বে এগিয়ে থেকেও পিএসজির বিপক্ষে জয় পায়নি সফরকারী অ্যাঞ্জার্স। বল দখলের আধিপত্য রাখা পিএসজি প্রথমার্ধ্বে বেশ কিছু আক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোলের দেখা পায়নি। অবশ্য ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো তারকায় ঠাসা ক্লাবটি। আন্দের এররেরা উঁচু করে বাড়ানো বল ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে পৌঁছে যান এমবাপে; কিন্তু ঠিকমতো ভলি করতে পারেননি তিনি। পাল্টা আক্রমণে ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বুফালের বাড়ানো বল বাঁ পায়ের শটে জালে পাঠান ফুলগিনি। পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি। পিছিয়ে গিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় পিএসজি। বিরতির আগে অবশ্য একবার বল জালে জড়ায়। তবে এররেরা হেডের গোলটি অফসাইডে কারণে বাদ পড়ে যায়। বিরতির পর দারুণ শুরু করে স্বাগতিকরা। আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ৬৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে দলটি। কর্ণার থেকে এমবাপের ক্রস হেডে বল জালে জড়ান পর্তুগিজ মিডফিল্ডার পেরেইরা। ৮৭তম সফল স্পট কিকে ব্যবধান গড়ে দেন এমবাপে। লিগ ওয়ানে চার ম্যাচ পর গোলের দেখা পেলেন ফরাসি তারকা। ইকার্দির হেড ডি-বক্সে অ্যাঞ্জার্সের মিডফিল্ডার পিয়ারিক কেপেলা হাত দিয়ে ঠেকালে পেনাল্টিটি পায় পিএসজি। তাতেই দারুণ জয়ে ম্যাচের নায়ক বনে যান এমবাপে।
Discussion about this post