বিনোদন ডেস্ক: রানী মুখার্জী যখন টানা চারটা সলো হিট সিনেমা উপহার দিয়ে ফেলেছেন, সেই সময়টা তার ক্যারিয়ারের পিক টাইম নয়। সেটা তিনি অনেক পেছনে ফেলে এসেছেন। এখন তিনি সেসব সিনেমাতেই অভিনয় করছেন, যেখানে গল্পটা তাকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে। সেটা ‘মারদানি’ হোক, ‘হিচকি’ হোক, কিংবা হোক ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’। মাঝে ‘বান্টি অর বাবলি-২’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছিল, তবে সেটাকে আসলে ‘রানী মুখার্জীর সিনেমা’ বলার উপায় নেই। সমস্যা হচ্ছে, ফিমেল সেন্ট্রিক সিনেমাগুলোর গ্রহণযোগ্যতা উপমহাদেশে খুবই কম। নারীপ্রধান গল্পের একটা সিনেমা হিট হওয়া মানেই বিরাট ঘটনা। সেখানে রানী মুখার্জী ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে গত এক দশকে চারটা হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন, যেগুলোর প্রত্যেকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন তিনি! বলিউডের মতো জায়গায় এটা একটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিত কিংবা হালের কঙ্গনা রনৌত- যারা নায়িকা হয়েও বক্স অফিসে সাফল্যের অনুঘটক হয়ে উঠেছিলেন, বা উঠেছেন- তাদের সঙ্গে রানী মুখার্জীর বড়সড় একটা তফাৎ হচ্ছে, রানী তার ‘পোস্ট ক্যারিয়ার প্রাইম টাইমে’ এসে এমন সাফল্যের গল্প লিখছেন, যখন কিনা নায়িকারা দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যেতে থাকেন। এ কারণেই রানীর এই সাফল্য বলিউডের ফিমেল সেন্ট্রিক সিনেমার জন্যেই দুর্দান্ত এক অর্জন হয়ে থাকবে সবসময়
Discussion about this post