বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সন্ত্রাসী নাহিদুল ইসলাম নয়ন হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যেরভিত্তিতে গত ২০ মার্চ ঢাকা-গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার বগুড়া জেলা পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১১ মার্চে বগুড়ার গবাতলীর ১৯ মামলার আসামি নাহিদুল ইসলাম নয়ন (৩০) কে হত্যা করে দুর্বত্তরা। নয়ন ওই উপজেলার মরিয়া গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত নয়নের মা নার্গিস বেগম গত ১৩ মার্চ গাবতলী থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তাররা হলেন, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার চকমারিয়া গ্রামের সালামের ছেলে সাগর (২২), একই উপজেলার মারিয়া গোলাবাড়ী গ্রামের জিন্নাত আলী প্রাংয়ের ছেলে রকি (২৪), মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামের নিলু প্রাংয়ের ছেলে জনি (২৩) ও মহিষাবান দহপাড়া গ্রামের মুক্তি সরকারের ছেলে সাকিল (২৩)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, তাদের সাথে নিহত নয়ন এর এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝামেলা চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন নয়ন গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাগরকে মহিষাবান ত্রিমোহনী বাজারে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে। সাগর মারধরের বিষয়টি রকিকে বলে এবং জনি ও শাকিল এর সাথে যোগাযোগ করে তারা বগুড়া শহরের সাতমাথায় ৪ জন একত্রিত হয়। এরপর তারা নয়নকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে তারা সিএনজি ভাড়া করে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঠের বাঠাম ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন নয়নকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সাইহান ওয়ালিউল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতে প্রেরণের তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া এই হত্যা মামলার পলাতক এবং অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post