সৈয়দপুর(নীলফামারী) প্রতিনিধি: সৈয়দপুরে আসামির কাছ থেকে উদ্ধারকৃত সোনার ১০টি বার আত্মসাৎ করার অভিযোগে নীলফামারী মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) সিপাহী মেহেদী হাসান (৩২) কে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাইফুল ইসলামের মামলায় আটকের পর তাকে নীলফামারী আদালতে নেয়া হয়। মহামান্য আদালতের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে সিপাহী মেহেদীকে কারাগারে প্রেরণ করেন। সিপাহী মেহেদী হাসান দিনাজপুরের শীবপুর মোল্লাপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরি করেন। জানা যায়, বিশাল মাদকের চালান আটক করতে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ১১ ফেব্রুয়ারি উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের কামারপুকুর বাজার এলাকায় ঢাকা থেকে আগত সাগরিকা এক্সপ্রেস নামের একটি নৈশকোচে অভিযান চালায় নীলফামারী মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় তল্লাশি করে মাদকের পরিবর্তে দুই যুবকের কাছে ১৫টি সোনার বার উদ্ধারের পর সৈয়দপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। আটক চোরাকারবারীরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার সিংঙ্গাইরের সুমন আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (২৫) ও একই এলাকার নুরুলের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ (২৬) । পরে থানায় তল্লাশীতে মোহাম্মদ উল্লাহর কাছ থেকে আরও ৫টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এগুলো তাদের কোমড়ে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ছিল। উদ্ধারকৃত সোনার ওজন ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম এবং মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। আটক চোরাকারবারী মোহাম্মদ উল্লাহকে রিমান্ডে নেয়া হলে তাদের কাছে মোট ৩০টি সোনার বার ছিল বলে জানায়। তবে প্রথমে ১৫টি জব্দ দেখানো হয়। পরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও ৫টি উদ্ধার করা হয়। এতে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে তদন্ত চালালে প্রকৃত তথ্য বেড়িয়ে আসে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মোহাম্মদ উল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া ১৫টি সোনার বারের ১০টি সরিয়ে ফেলে সিপাহী মেহেদী হাসান। পরে সেগুলো মোহাম্মদ উল্লাহর বাবা নুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থের বিনিময়ে ফেরত দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মেহেদী হাসানকে রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়।
Discussion about this post