আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চন্দ্র নববর্ষের ছুটিতে মধ্য থাইল্যান্ডে একটি যাত্রীবাহী ভ্যান দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু ঘটেছে। সোমবারের দুর্ঘটনায় সকলেই দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের এই রাজ্যটিতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রায় সাধারণ ঘটনা। বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এই সড়কে বেশি দুর্ঘটনা ঘটার রেকর্ড রয়েছে। পুলিশ কর্নেল ইংগিওস পোলদেজ বলেছেন, ১২ জনকে বহনকারী ভ্যানটি উত্তর-পূর্ব আমনাত চারোয়েন প্রদেশ থেকে ব্যাংককের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রাপথে এটি মধ্য নাখোন রাতচাসিমা প্রদেশে শনিবার রাতে হাইওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। ইঙ্গিওস এএফপিকে বলেছেন, একজন ব্যক্তি একটি জানালা দিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু অন্য যাত্রীরা আটকে পড়ে এবং আগুনে পুড়ে মারা যায়। ঘটনায় শুধু থানাচিট কিংকাউ (২০) নামে এক যুবক বেঁচে যান। তিনি একজন ছাত্র। তার ভাষ্যমতে, তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, ঘুমের মধ্যে লোকেদের চিৎকার শুনে তিনি জেগে উঠেন। তিনি বলেন, ‘আমি জেগে উঠলাম এবং পরের জিনিসটি আমি জানি, ভ্যানটি উল্টে গেছে। আমি দেখতে পাইনি কি হয়েছে। দুর্ঘটনার পর, আগুন পেছন থেকে শুরু করে পুরো ভ্যানটিকে গ্রাস করতে শুরু করে। আমি জানালাতে লাথি মারতে শুরু করি এবং একটি ছোট গর্ত দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে বের হতে পেরেছিলাম। এর পরপরই, ভ্যানটি বিস্ফোরিত হয়।’ স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের একজন স্বেচ্ছাসেবক নিখোম সিউন বলেন, ভ্যানটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন পুরো ভ্যানটিকে গ্রাস করতে ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময় লেগেছিল। আমার কাছে থাকা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আমি কিছুই করতে পারিনি। ভ্যানটি তখন তিন থেকে চারবার বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ কর্নেল ইংইয়োস বলেন, ভ্যানটি জ্বালানি এবং সংকুচিত গ্যাস উভয়ই ব্যবহার করেছিল তবে প্রাথমিক রিপোর্টে পাওয়া গেছে যে গ্যাস ট্যাঙ্কটি ফুটো হয়নি। আমরা মনে করি যে জ্বালানীর কারণে আগুন লেগেছিল। তারা এখনও তদন্ত করছে।
Discussion about this post