স্পোর্টস রিপোর্ট: জয়ের কোনো বিকল্প নেই এমন সমীকরণ সামনে রেখে খেলতে নেমে প্রথমার্ধেই গোলের দেখা পায় সেনেগাল। দ্বিতীয়ার্ধে ইকুয়েডর তা পরিশোধ করলেও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিশ্চিত করে দলটি। তাতেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয় আফ্রিকান দলটির। এ জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানারআপ হয়েছে সেনেগালিজরা। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রইলো ইকুয়েডর। আর তলানিতেই রইলো কাতার। ম্যাচে বল দখলে প্রায় সমানভাবে খেলতে থাকলেও আক্রমণে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো সেনেগালের। পুরো ম্যাচের ৪৭ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখে সেনেগালের ফুটবলাররা। আর প্রতিপক্ষের গোলবার বরাবর মোট শট নিয়েছে ১১টি। অন্যদিকে পুরো ম্যাচের ৫৩ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখে ইকুয়েডরের ফুটবলাররা। আর সেনেগালের গোলবারে মোট শট নিয়েছে মাত্র দুটি। ইকুয়েডরের রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। যার দরুণ ম্যাচের ৪২ মিনিটে খেই হারিয়ে ফেলে ইকুয়েডর। ইসমাইল সারকে ডি বক্সর ভেতর ফাউল করে বসেন প্রিসাইডো। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে লাইফলাইন পায় সেনেগাল। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোল ব্যবধানে। পিছিয়ে থাকা ইকুয়েডর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে। চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। সেই সুবাদে ৬৭তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান সেইসেডো। এর ৩ মিনিট পরেই আবারও লিড নেয় সেনেগাল। দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন কৌবিবালি। পরে আর গোল না হলে জয় নিশ্চিত হয় সেনেগালের।
ইকুয়েডর একাদশ(ফরমেশন: ৪-৩-৩): হারনান গালিন্দেজ, পিয়েরো হিনক্যাপিয়ে, ফেলিক্স তোরেস, পারভিস ইস্তোপিয়ন, অ্যাঞ্জেলো প্রেসিয়োদো, কার্লোস গ্রুয়েজো, মইসেস সাইসেদো, অ্যালান ফ্রাঙ্কো, মিখায়েল এস্ত্রাদা, এনার ভ্যালেন্সিয়া, গঞ্জালো প্লাতা।
সেনেগাল একাদশ (ফরমেশন: ৪-২-৩-১): এডুয়ার্ডো মেন্ডি, আবদু দিয়ালো, কালিদু কৌলিবালি, ইসমাইল জ্যাকবস, ইউসুফ সাবালি, ইদ্রিসা গুইয়ে, পাপে গুইয়ে, পাথে সিস, বৌলায়ে দিয়া, ইসমাইল সার, ইলিমান এনদিয়ায়ে।
Discussion about this post