আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতালির ইসচিয়া দ্বীপে ভয়াবহ ভূমিধসে সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক নবজাতক ও দুই শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন পাঁচজন। এদিকে, ভূমিধসের ঘটনায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইতালি সরকার। সোমবার (২৮ নভেম্বর) জানান ক্লাউদিও পালোম্বা নামের এক সরকারি কর্মকর্তা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ও জরুরি সেবা থেকে বলা হয়, শনিবার সকালে ক্যাসামিসিসিওলা তার্ম শহরের ভেতরে দিয়ে কাদাপানি ও ধ্বংসাবশেষের ঢল নামে। তাতে অসংখ্য বাড়িঘর ও গাড়ি সমুদ্রে ভেসে যায়। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে এ ভূমিধস ঘটে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্যাসামিসিসিওলা তার্ম শহর। এ দুর্ঘটনায় শহরটির অন্তত ৩০টি পরিবার আটকা পড়েছে। কাদা ও ধ্বংসাবশেষে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। পানি ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে আটকে পড়া লোকজন। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক কর্মী, ডুবুরি ও মাটি সরানোর দল ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে থাকা রাস্তাগুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে জোর উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে উদ্ধারকাজ চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। জানা গেছে, ২০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকারী নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছেন। শত শত স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্যরা কাদায় নেমে শহরের রাস্তা পরিষ্কার করছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযানে যেকোনো বাধা-বিঘ্ন এড়াতে ইসচিয়ার বাসিন্দাদের ঘরের মধ্যে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার ভোরের দিকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ইতালির নেপলসের কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকা ও ইসচিয়া দ্বীপে কাদা ও ধ্বংসাবশেষের স্রোতে গাছপালা, ভবন ও গাড়ি ভেসে যায়। এরপর থেকে অন্তত ১৩ জন নিখোঁজ ছিলেন। রোববার নিখোঁজদের মধ্যে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিধসের ফলে অনেক ভবন ভেঙে গেছে। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভেসে সমুদ্রের দিকে চলে যাচ্ছে। দেশটির বেসামরিক সুরক্ষামন্ত্রী নেলো মুসুমেসি জানান, জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর মন্ত্রীসভা বৈঠকে ২০ লাখ ইউরোর ত্রাণ তহবিলের প্রথম কিস্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post