ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নৌকার বিজয় মিছিলে হামলা ও পাল্টা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে দু গ্রুপ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পরপরই গট্টি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুরাদ মোল্যার সমর্থকরা নৌকার বিজয় মিছিল বের করেন। এ সময় ওই মিছিলে হামলা চালায় সালথা উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ভাবুকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা পাভেল রায়হানের অনুসারী সেকেন মোল্যার সমর্থকরা। পরে সেকেন মোল্যার সমর্থকরা পাল্টা নৌকার বিজয় মিছিল শুরু করে। তখন আবার মুরাদ মোল্যার সমর্থকরা তাদের মিছিলে হামলা চালালে শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে দু গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন। যুবলীগ নেতা মুরাদ মোল্যা বলেন, আমাদের সেন্টারে নৌকার বিজয় ঘোষণার পর আমার সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করে। তখন যুবলীগ নেতা পাভেলের অনুসারী বিএনপি নেতা সেকেন মোল্যার সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের মিছিলে হামলা চালায়। পরে আমার সমর্থকরাও পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আমার সমর্থক বাসার খান, তুসার মোল্যা, আবু মোল্যা, মালেক ও মামুন গুরুতর আহত হয়। তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা পাভেল রায়হান বলেন, কি নিয়ে মারামারি হয়েছে আমি জানি না। এ ঘটনায় আমাদের কেউ আহত হয়নি। তার অনুসারী সেকেন মোল্যা বলেন, আমাদের লোকজনের ওপর মুরাদ মোল্যা ও ইব্রাহিম মোল্যার লোকজন হামলা চালায়। পরে এ নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমি সংঘর্ষের সময় এলাকায় ছিলাম না। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আপাতত পরিবেশ শান্ত রয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।
Discussion about this post