আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ৪৫ দিন। লিজ ট্রাসকে বছরে ১ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড পেনশন দেবে ব্রিটিশ সরকার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা এক কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি। বর্তমানে আর্থিক সংকটে থাকা ব্রিটেনের এই সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিপুল অর্থ কেন পেনশন দেওয়া হবে?, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যদিও ব্রিটিশ সরকারের দাবি, নিয়ম মেনেই এই পেনশন দেওয়া হবে লিজ ট্রাসকে। উল্লেখ্য, ১৯৯১ থেকে পেনশনের আওতাভুক্ত হয়েছেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সাবেকরা। পেনশন ছাড়া আরও কিছু আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন সদ্য সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। সবচেয়ে কম সময়ের জন্য পদে থাকলেও পাবলিক ডিউটি কস্ট অ্যালাউন্স বা পিডিসিএ ভাতা পাবেন তিনি। এ ভাতাগুলো বার্ষিকভাবে দেওয়া হবে। ব্রিটেনের সরকারি ওয়েবসাইটে ট্রাসের জন্য খরচের যাবতীয় হিসেব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পর পেনশন ও ভাতা মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি টাকা দিতে হয়েছে টনি ব্লেয়ারকে। পেনশন ও ভাতা বাবদ বছরে তার জন্য ১ লাখ ১৪ হাজার ৭১২ পাউন্ড খরচ করে ব্রিটিশ সরকার। এছাড়া ডেভিড ক্যামেরনকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪২৩ পাউন্ড দেওয়া হয়। এদের তুলনায় অনেকটাই কম টাকা পেনশন হিসেবে পান থেরেসা মে। তাকে ৫৭ হাজার ৩৮২ পাউন্ড দেয় ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটেনের সরকারি ওয়েবসাইট সূত্রে খবর, বর্তমানে সাতজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পেনশন দেওয়া হচ্ছে। এই ইস্যুতে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য লিজ ট্রাসের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারম বলেন, মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ট্রাস। কিন্তু এখন তার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। ট্রাসের উচিত নিজে থেকেই ওই পেনশন ছেড়ে দেওয়া। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন ট্রাস। কর্পোরেট কর মওকুফ ইস্যুতে দলেই বিরোধিতার মুখে পড়ায় পদত্যাগ করেছেন তিনি।
Discussion about this post