চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুর নৌ-সীমানার পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক অভিযানে ৪০ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও জেলা টাস্কফোর্স। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ ও সদর উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০জন জেলেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্টজাল, ১শ’ ৩ কেজি ইলিশ মাছ, ৮টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ইলিশ মাছ হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়। অভিযানে আটক জেলেরা হচ্ছে,-রবিউল গাজী, জিল্লুর রহমান, হোসেন আলী, সাগর চোকদার, চাঁদ মিয়া, বাবু, জুয়েল মোল্লা, ওবায়েদুল মোল্লা, মো. জাহাঙ্গীর সরদার, মো. জিসান, ইয়াছিন সরদার, সাইফুল ইসলাম, নবীর হোসেন, হাকিম আলী, মো. মোবারক, আক্কাছ আলী, আল-আমিন, মো. মোজাম্মেল, সুমন ও মোস্তফা কামাল। এদের মধ্যে জিসান, আল-আমিন, মো. মোজাম্মেল, সুমন ও মোস্তফা কামাল অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। বাকী জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হাসান। অপরদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনায় জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে গ্রেফতার হয় ২০ জেলে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ মিটার ও ২৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত জেলেরা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল কাদির, মো. আলাউদ্দিন, মো. হাসান বেপারী, আল-আমিন, মো. হাসান, মো. মতিন, মো. আব্দুর রহমান, মো. মঞ্জিল মিয়া, মো. তাফাজ্জল হোসেন, মো. মাহফুজ, মো. রিপন মিয়া, মো. গোলাম রাব্বানী, মো. কাউসার, সুজন মিয়া. মো. জুয়েল গাজী, মো. দুলাল মিয়া, মো. বিল্লাল হোসেন বেপারী, মো. হাবিব বেপারী ও মো. পারভেজ। এদের মধ্যে মো. পারভেজ অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। বাকী ১৯জনকে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালতে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, জব্দকৃত কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং ইলিশ মাছ নিলামের বিক্রির জন্য হিমাগারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
Discussion about this post