স্টাফ রিপোর্টার: কমলাপুর রেলস্টেশনে থেমে থাকা একটি ট্রেনে ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াজ মাহমুদ জানান, ভোক্তভোগী কিশোরী জানান তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। পেশায় তেমন কিছুই করেন না তিনি। বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে রওনা করে রাতে ঢাকার কমলাপুর আসেন। সেখানে ৪/৫ নম্বর প্লাটফর্মে বসে থাকা অবস্থায় পানি বিক্রেতা ইমরান নামে এক যুবকের সাথে তার কথা হয়। সে ওই কিশোরীকে এটাসেটা বলে প্লাটফর্মের একটি ব্রেঞ্চে শুয়ে থাকতে বলে। এবং তাকে কেউ কিছু বললে ইমরানের পরিচয় জানাতে বলে। অনেক রাত হয়ে গেলে তখন তাকে ১ নম্বর প্লাটফর্মে তুরাগ কমিউনিটি লোকাল ট্রেনের বগিতে শুয়ে থাকতে বলে একপাশের দরজা আটকে দেয়। এরপর ওপর পাশের একটি দরজা দিয়ে সে সহ তার আরও ৫ সঙ্গী মিলে তাকে ধর্ষণ করে। তিনি জানান, এমন সময় রাত ১টার দিকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যকে সেখানে দিয়ে যাতায়াত করতে দেখে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। তখন নিরাপত্তাকর্মীর সন্দেহ হলে তিনি উকি দিয়ে দেখেন, রেলের বগির ভিতর পড়ে আছেন ওই কিশোরী। তখন থানায় খবর দেন তিনি। এরপর তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, রাতেই ওই কিশোরীর সনাক্তের মাধ্যমে স্টেশন এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় ইমরান নামে অভিযুক্ত যুবক এখনও পলাতক রয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী বাদি হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন সুমন (২১), নাঈম (২৫), নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০), রোমান প্রকাশ কালু (২২)। আর পলাতক আছে ইমরান (২০)।
Discussion about this post