ঢাকা: সরকারের পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। তবে পূর্ব ঘোষিত শনিবারের এই কর্মসূচিতে ছিলেন না দলটির প্রেসিডেন্ট কর্ণেল অব. অলি আহমদ। যদিও শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচিতে অলি আহমদ থাকবেন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভ সমাবেশের আগে ও পরে তার দেখা মেলেনি। বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হত্যা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এলডিপির সমাবেশটি শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে কাকরাইল পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে এলডিপি নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আজ আমরা এক দফা দাবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের আর কোনো দাবি নাই। দাবি একটাই এই সরকারের পদত্যাগ চাই। আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে চাই, এই ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’ তারা আরও বলেন, ‘এইসরকার প্রায় ৬ শতাধিক বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গুম করেছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ৩৫ লাখ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে গৃহবন্দি করে রেখেছে। সমগ্র দেশটাকে কারাগারে রূপান্তরিত করেছে। এই সরকারের পতন না হলে এর থেকে মুক্তি মিলবে না। মুক্তির রাস্তা একটাই এই সরকারের পদত্যাগ।’ সমাবেশে বক্তব্য দেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম, এ্যাড. এসএম মোরশেদ, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, ড. নেয়ামূল বশির, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা মোছা. কারিমা খাতুন, যুগ্ম-মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, প্রচার সম্পাদক এ্যাড. নিলু, এলডিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক ও আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক এডভোকেট নূরে আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আবুল হাসেমসহ এলডিপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Discussion about this post