মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের সদরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুল সর্দার উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের সাবেক তিন বারের চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নিপীড়নের শিকার কিশোরীর মা। এর আগে ওই কিশোরীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ছিলারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাবুল সর্দার তার নিজ বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘরে যায়। সেখানে একা পেয়ে ভাড়াটিয়ার ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। তখন ওই কিশোরী মা ও বাবা চাকরির কারণে বাড়ির বাইরে ছিলেন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরীর মা বাড়িতে এলে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এসময় ভুক্তভোগী কিশোরী ইশারায় বাড়ির মালিকের কথা জানায়। পরে ওই কিশোরীসহ সদর থানায় গেলে পুলিশ রাতেই সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে এলাকা থেকে পালিয়ে আছেন অভিযুক্ত বাবুল সর্দার। ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, ‘আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাবুল চেয়ারম্যান ধর্ষণ করেছে। আমরা কেউ বাসায় ছিলাম না। বাসায় আসার পরে মেয়েকে উদ্ধার করেছি। সে ইশারায় বাবুল চেয়ারম্যানের কথা বলেছে। আমি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছি। আমি তার বিচার দাবি করছি।’ মুঠোফোনে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুল সর্দার জানান, ‘আমি বার বার জনপ্রতিনিধি হয়েছি। এখন আমাকে ঘায়েল করতে প্রতিপক্ষের লোকজন ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে। তবে আমি নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে নেই, একটি নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করছি। সময় মতো সব কিছুর জবাব দেব।’ এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিক আলামতে ধর্ষণের বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে। তারপরও পুলিশের হেফাজতে ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আর ভুক্তভোগীর মা একজনকে আসামি করে অভিযোগ দিয়েছেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণ প্রমাণিত হলে দোষীকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
Discussion about this post