ডেস্ক রিপোর্ট: নিউইয়র্কে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সাথে অসদাচারণ করায় যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি দুরুদ মিয়া রনেলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ২১সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের হোটেল লোটে প্যালেসে গোলাপের সাথে এ ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক আসেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। ২১ সেপ্টেম্বর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে হোটেল লোটে প্যালেসে যান। এসময় হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করিয়ে দেন গোলাপ। অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের ঢুকতে বাধা দেয়ায় বাকবিতন্ডা শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক তারিকুল হায়দার গোলাপকে অশালীন ভাষায় গালি দিতে থাকে। এসময় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দুরুদ মিয়া রনেলও গালি দেন। উপস্থিত কেউ এ দৃশ্য ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিলে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনা এড়াতে এসময় গোলাপ দ্রুত লিফটের মধ্যে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবারো বাইরে আসলে দেখা যায় গোলাপের চোখে পানি। ঘটনার ৬দিন পর স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুরুদ মিয়া রনেলকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি। মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ হাতে পেয়েছে রনেল। যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবকলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি দুরুদ মিয়া রনেল বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ মনি সম্পর্কে মিথ্যা এবং অশালীন বক্তব্য দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ। সেই বহিষ্কৃত নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করিয়ে দিয়ে আব্দুস সোবহান গোলাপ। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি আমরা। এসময় রাগ, ক্ষোভ এবং দলের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসার কারণে অসাবধানতাবসত খারাপ কথা বলে ফেলি। এ ঘটনার জন্য ব্যাক্তিগত এবং পারিবারিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে রনেল বলেন, ঘটনার পর সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাকে কোনো প্রকার ব্যাখ্যা চাওয়া বা আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে এক তরফা বহিষ্কার করাটা সাংগঠনিক নিয়ম মেনে হয়নি। তিনি আরো বলেন, আমি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করেছি। যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক তারিকুল হায়দার বলেন, গত বছর একটি জুম মিটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সংশ্লিষ্ঠতা আছে বলে মন্তব্য করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে যে ব্যক্তি মিথাচার করে সে আবার কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারে। আমরা শুধু এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। তবে রাগ এবং আবেগের বশে গোলাপকে গালি দেয়ার কারণে ভুল স্বীকার করেন তিনি। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তারিকুল হায়দারের বহিষ্কারের কথা বলা হলেও তিনি এখনও পর্যন্ত এ সম্পর্কিত কোনো চিঠি পাননি বলে জানান।
Discussion about this post