আন্তর্জাতিক ডেস্ক,: সম্প্রতি ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে শক্তিশালী টাইফুন ‘নোরু’। ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগ সমৃদ্ধ এই টাইফুনটি ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। টাইফুনের আঘাতে বন্যা এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সম্প্রদায়কে উদ্ধার করতে গিয়ে ৫ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি। টাইফুনটি রবিবার এবং সোমবার লুজোনের প্রধান দ্বীপ জুড়ে প্রবাহিত হয়। সেইসঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত এবং প্রচণ্ড বাতাসের কারণে গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং নিচু জনগোষ্ঠীকে বন্যায় প্লাবিত করে। তবে এখন পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এএফপি জানায়, মারা যাওয়ার সময় পাঁচ উদ্ধারকারী রাজধানী ম্যানিলার কাছে বুলাকান প্রদেশের সান মিগুয়েল পৌরসভায় ছিলেন। সান মিগুয়েলের পুলিশ প্রধান লেফটেন্যান্ট-কর্নেল রোমুয়াল্ডো আন্দ্রেস বলেন, ‘প্রাদেশিক সরকার উদ্ধারকর্মীদের প্লাবিত এলাকায় মোতায়েন করেছিল।’ আন্দ্রেস আরও বলেন, উদ্ধারকারীরা বন্যার পানির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, তাদের পাশের একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং তারা স্রোতের মধ্যে ভেসে যায়। ফিলিপাইনে নিয়মিতই বিধ্বংসী ঝড়ের কবলে পড়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী উষ্ণ হচ্ছে, ফলে ফিলিপাইনে এরকম ঝড়ের প্রবণতা ক্রমশই বেড়ে চলেছে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। ঝড়টি আঘাত হানার আগে প্রায় ৭৫ হাজার লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কারণ আবহাওয়া সংস্থা আগেই সতর্ক করেছিল যে ভারী বৃষ্টির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ‘গুরুতর বন্যা’ হতে পারে, ভূমিধস হতে পারে এবং ফসল ধ্বংস হতে পারে। কিন্তু সোমবার সকালে আশঙ্কা অনুযায়ী অতিরিক্ত ধ্বংসযজ্ঞের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র দুর্যোগ সংস্থাগুলির সঙ্গে একটি ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘আমরা এই সমস্ত কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন আমরা বাড়াবাড়ি করেছি। দুর্যোগের ক্ষেত্রে ওভারকিলের মতো কিছু নেই।’ পোলিলো দ্বীপপুঞ্জের বুর্দিওস পৌরসভা, কুইজোন প্রদেশের অংশ, নোরু ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে স্থান পেয়েছে ফিলিপাইন। দেশটি প্রতি বছর গড়ে ২০টি ঝড়ের কবলে পড়ে৷
Discussion about this post