বুড়িমারী(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি: জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের ১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। এর অন্যথা হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি বুড়িমারী স্থলবন্দরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থলবন্দরের ইতিহাসে এই প্রথম এক সাথে এতো জন কর্মকর্তা কর্মচারির বদলীর ঘটনা ঘটেছে। কেন এমনটি হয়েছে কেউ মুখ খুলছে না। তবে রহসন্যজনক দুর্নীতির কারণে এমনটি হয়েছে এটা সকলে নিশ্চিত। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৫ টায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন ১৬ কর্মকর্তা কর্মচারিকে বদলীর পত্রের আদশটি পেয়েছেন। তিনি বিষয়টি মিডিয়া কর্মীদের নিশ্চিত করেছে। স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, ঢাকা, আগারগাঁও কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) বিভাগের ডিএম আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বদলি আদেশের চিঠি ২৫ আগস্ট জারি করা হয়। এতে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) রুহুল আমীন, ট্রাফিক পরিদর্শক জাহীদুর রহমান, হিসাবরক্ষক আদনান খালিদ বসুনিয়া ও ক্যাশিয়ার ভ্রমর কুমার সরকারকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে, ট্রাফিক পরিদর্শক সালাউদ্দিনকে ফেনীর পরশুরাম বিলোনিয়া স্থলবন্দরে, ট্রাফিক পরিদর্শক শাহিন মাহমুদ ও আমিনুল হককে ময়মনসিংহের গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে, ওয়্যার হাউজ সুপারিন্টেনডেন্ট মানিকুর রহমানকে ফেনীর বিলোনিয়া স্থলবন্দরে, একই পদের মিনহাজ উদ্দিন, হারুন অর রশিদ, আবুল বাসার ও কম্পিউটার অপারেটর হাসমত উল্লাহকে যশোরে বেনাপোল স্থলবন্দরে, ওয়্যার হাউজ সুপারিনটেনডেন্ট মাছুদ রানাকে দিনাজপুরের জেলার হিলি স্থলবন্দরে একই পদের ফিদা হাসানকে পঞ্চগড়ের বেনাপোল ও এস এম মাসুম বিল্লাহকে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরে এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সেলিম রেজাকে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরে বুধবারের মধ্যে কাজে যোগদান করতে বলা হয়েছে। এটাকে পানিশমেন্ট বদলি বলছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৯৮৯ সালে বুড়িমারী স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়। বন্দরের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম।একটি সূত্র দাবি করেছে, এরা বুড়িমারী স্থলবন্দরে সিন্ডিকেট তৈরি করে নানা অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে ছিল। এতে কর্মকর্তা কর্মচারি গণ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের রাজস্ব আয় দিন দিন হ্রাস পেয়েছে। এই চক্রটিকে ভাঙতে এই বদলি বলে জানা গেছে। তাই চক্রের সদস্যদের পৃথক পৃথক বন্দরে বদলি করা হয়েছে। একই তারিখে পৃথক পত্রে উল্লেখিত স্থলবন্দর গুলো থেকে পদায়ন হওয়া ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে যোগ দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) রুহুল আমীন জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তিনি সহ ১৬ জনকে বদলি করা হয়েছে। দেশের পৃথক পৃথক স্থলবন্দরে। তাই হয়তো একসঙ্গে এতো জনকে বদলি করা হয়ে থাকতে পারে। সরকারি নির্দেশ মেনে নিয়ে সকলে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি।
Discussion about this post