পাবনা প্রতিনিধি: অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরিষদের ১১ সদস্য। শুক্রবার বিকেলে পুঙ্গলী ইউনিয়নের শালিকা বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইউপি সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ও সংরক্ষিত ১২ সদস্যের মধ্যে ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলামের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িয়ে পড়েন। ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, কাবিটা প্রকল্পের মেঘডুম্বর খেয়াঘাট হতে শ্রীগোবিন্দপুর অভিমুখে রাস্তা নির্মাণ কাজের চার লাখ পাঁচ হাজার টাকার কাজ না করেই বিল উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন চেয়ারম্যান। অন্যদিকে টিআর প্রকল্পের পুঙ্গলী ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজের ৩ লাখ টাকা, বিল চান্দক সাব মার্সিবল রোড় হতে খেলার মাঠ অভিমুখে রাস্তা সংস্কারের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, দিঘুলিয়া মাদরাসা হতে বাহাদুর খার জমি পর্যন্ত ক্যানাল মেরামত বাবদ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার কোনো কাজই দৃশ্যমান হয়নি। ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন, ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পে শ্রমিকদের স্বাক্ষর জাল করে কাজ না করেই অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। তিনটি মাটির রাস্তার কাজে ২২ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। ইউপি মেম্বরদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই তাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে এসব টাকা আত্মসাত করা হয়। এদিকে এসব অভিযোগের তদন্তের দাবিতে দুদক, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন, আবু সাইদ, রবিউল ইসলাম, মন্টু প্রামানিক, সোহেল রানা, মুকুল হোসেন সরদার, মাহাতাব উদ্দিন, আসমা খাতুন, শাপলা খাতুন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম সুমন বলেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যেসব প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে সেগুলো ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা ছিল। তারা কাজ দেখে তারপর বিল দিয়েছে। একটি প্রকল্পের কাজ করা হয়নি বন্যার পানি থাকার কারণে। পানি নেমে গেলে কাজ করা হবে। আর কর্মসৃজন প্রকল্পে শ্রমিকদের মুঠোফোনে টাকা আসে। এখানে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি করা হয়নি। এ বিষয়ে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমীন আরার মুঠোফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভি না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post