চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় নিজের বাল্যবিয়ে রুখতে অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির হলেন এক মেধাবী শিক্ষার্থী। বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে সাহায্য চাইলেন পুলিশের। থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তার অভিভাবককে বুঝিয়ে এ দায় থেকে রক্ষা করেছে তাকে।মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে সরাসরি উপস্থিত হন জেলা শহরের একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মা ও খালা ওই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তাদের অনেক বুঝিয়েও রাজি করাতে পারেনি ১৬ বছর বয়সী দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। অবশেষে বিয়ে রুখতে নিজেই মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে থানায় হাজির হয় সে।তিনি জানান, দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী একজন চা দোকানির মেয়ে। মা একটি মুড়ির কারখানায় চাকরি করেন। সম্প্রতি তার খালা ও মা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিশোরী তাদের বারবার বুঝানো সত্ত্বেও তারা বিয়ের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন এবং পাত্র ঠিক করেন। উপায় না দেখে কিশোরী নিজেই থানায় এসে উপস্থিত হয়। পুলিশের একটি দল কিশোরীর বাসায় গিয়ে তার মা ও বাবাকে বুঝিয়ে বলার পর তারা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন এবং মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন।
Discussion about this post