ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে লিখিত আকারে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে কী পরিমাণ টাকা গ্রহণ করেছে এবং গৃহীত টাকা কোথায় এবং কিভাবে হস্তান্তর হয়েছে সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিভাগকে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির কার্যপরিধি আদালত জানতে চেয়েছেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিযুর রহমান এর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীরদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ি ব্যক্তি চিহ্নিতকরণ এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অর্থ ফেরতে আশু পদক্ষেপের জন্য নির্দেশনা চেয়ে দায়েরকৃত রিট পিটিশনের শুনানি হয়েছে। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত।সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অনলাইন ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন তাৎপর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতে অনলাইন পেমেন্টের সুবিধা, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো ই-কমার্স ভিত্তিক অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ইভ্যালি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকম, দালাল, ইঅরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
নোটিশ গ্রহীতারা কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। নোটিশে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদের গাফিলতির কারণে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক সর্বসান্ত হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, দুদকের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ই-ভ্যালি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকম, দালাল, ই-অরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ, ইত্যাদি কর্তৃক পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ নিরূপণ করে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বাংলাদেশ ব্যাংককে এ পর্যন্ত ইভ্যালি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকেম, দালাল, ই-অরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ, ইত্যাদিতে মোট কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং গ্রাহকরা মোট কত টাকা দিয়েছে তা চিহ্নিত করা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে এবং তারা কি কি পদক্ষেপ এ পর্যন্ত নিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ই -কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়াসহ ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারী, অসম প্রতিযোগিতা রোধ, জনসচেতনতা তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া, জাতীয় ডিজিটাল বাণিজ্য নীতি, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে হেল্প ডেস্ক অবিলম্বে চালু করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
Discussion about this post