নেত্রকোনা প্রতিনিধি: করোনার মাহামারির প্রকোপ কমে আসায় দেশের পর্যটন এলাকাগুলো আবারও ফিরে পেয়েছে প্রাণ চাঞ্চল্য। এরইমধ্যে দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও অঘোষিত পর্যটন কেন্দ্রগুলো ফের পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।নেত্রকোনায় পাহাড় আর নদীর গভীর মিতালির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যার মূল সৈন্দর্য লুকিয়ে আছে দুর্গাপুরে। যা সীমান্তে পাহাড়ি ও সমতলের ভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর এক অভিন্ন মেলবন্ধনও তুলে ধরে। পাশাপাশি নয়নাভিরাম প্রকৃতি মুগ্ধ করে তোলে ভ্রমণ পিপাসুদের। যে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে অসংখ্য ভ্রমণকারী। বর্তমান সময়ে রাজার অস্তিত্ব না থাকলেও সুসং রাজার বাড়ি দেখতে দুর্গাপুরে যান হাজারও মানুষ। ২৭৮.২৮ বর্গ কিলোমিটারের দুর্গাপুর উপজেলায় রয়েছে সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। তারমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নেই রয়েছে পর্যটনের ছোঁয়া। এরমধ্যে দুইটি ইউনিয়নের পুরো এলাকা জুরেই নৈসর্গিক দৃশ্য আর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এছাড়া সোমেশ্বরী নদী রয়েছে পুরো উপজেলার শুরু থেকে শেষ সীমানা পর্যন্ত। ভারতের বাঘমারা সীমান্ত দিয়ে নেমে আসা এই পাহাড়ি নদী যেমন রূপে তেমনই গুণে। নদীটি আশীবার্দ হয়ে রয়েছে উপজেলার মানুষের জন্যে। সারা বছরই নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালু-পাথর উত্তোলন হয়। এছাড়াও উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের সবটুকু জুরে রয়েছে চিনামাটির পাহাড়। যা থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে উপজেলার প্রভাবশালীরা। নেত্রকোনার একটি বৈশিষ্ট্য, শীত বর্ষা সকল মৌসুমেই সেখানে ঘুরতে যান হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু বেশিরভাগ এলাকা ঘুরতে হয় তাদের দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। জেলার বেশিরভাগ রাস্তাঘাটই চলাচলের অযোগ্য ও ভাঙাচোরা। এছাড়া শুধু বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি ছাড়া পর্যটকেরা কোথাও বসে বিশ্রাম নেবে বা প্রাকৃতিক ডাকা সারা দেবে এমন কোনো স্থান নেই নেত্রকোনায়। তবুও হাজারও ভোগান্তির শিকার হয়েও মানুষ কেবল সেখানে যান মানসিক প্রশান্তির জন্য। জেলা প্রশাসক কাজি মো.আবদুর রহমান জানালেন, পর্যটন এলাকা হিসেবে ঢেলে সাজানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পাহাগি নদীটিকে নান্দনিক করতে কয়েকবার পরিদর্শন করা হয়েছে। এর সম্পদকে কাজে লাগাতেও রয়েছে পরিকল্পনা।
Discussion about this post