আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের লিসিচানস্ক শহর দখলের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে ইউক্রেনে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রুশ টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছিলেন, পূর্বে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুসারে তাদের লক্ষ্যগুলি অনুসরণ করার জন্য অন্যান্য ফ্রন্টে বাহিনীকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বর্তমানে লুহানস্ক অঞ্চলের প্রায় পুরোটাই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। এর আগে অঞ্চলটির ইউক্রেনীয় গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেছিলেন, শহরটি পরিত্যক্ত হয়েছে তাই রাশিয়ানরা এটিকে দূর থেকে ধ্বংস করবে না। সম্প্রতি তিনি বিবিসিকে বলেছেন, সৈন্যরা এখন নতুন সুরক্ষিত অবস্থানে চলে গেছে। শহর হারানো এবং লুহানস্কের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করা বেদনাদায়ক ছিল। এটি কেবল একটি যুদ্ধ আমরা হেরেছি, কিন্তু পুরো যুদ্ধ নয়। ইউক্রেনীয় বাহিনীর মতে, রাশিয়া এখন প্রতিবেশী দোনেৎস্ক অঞ্চলের শহরগুলিতে বোমাবর্ষণ বাড়িয়েছে। পাশাপাশি স্লোভিয়ানস্কের আশেপাশের এলাকা এবং বিশেষ করে লিসিচানস্ক এবং বাখমুতের মধ্যবর্তী রাস্তাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলগুলি একসঙ্গে দনবাস শিল্পাঞ্চল নামে পরিচিত। পুতিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে বলেছেন, সৈন্যরা লুহানস্ক দখলের অভিযানে অংশ নিয়েছে। তাদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত এবং যুদ্ধের সক্ষমতা বিকাশ করা উচিত। পূর্ব গ্রুপ এবং পশ্চিম গ্রুপসহ অন্যান্য সামরিক ইউনিটগুলিকে অবশ্যই পূর্বে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কাজগুলি সম্পাদন করতে হবে। সেই ফ্রন্টগুলিতে লুহানস্ক অঞ্চলের মতো সাফল্য পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন পুতিন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করার ঠিক আগে সমস্ত লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন পুতিন। রাশিয়ান প্রক্সি বাহিনী সেখানে ২০১৪ সালে একটি বিদ্রোহ শুরু করেছিল। সে বছেই রাশিয়া ক্রিমিয়ান উপদ্বীপকে সংযুক্ত করেছিল। মাত্র গত সপ্তাহে রুশ সৈন্যরা সিভেরাদোনেৎস্ক দখল করেছিল। শহরটি রাশিয়ার বোমাবর্ষণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
Discussion about this post