ঢাকা: ব্যক্তিস্বার্থে পাট ও বস্ত্র কলগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরের দুঃশাসনে দেশের অন্যান্য সকল সেক্টরের ন্যায় পাট ও বস্ত্র শিল্পকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ঘুষ, অনিয়ম, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে যায় গোটা দেশ।’ বুধবার সচিবালয়ে ইউরোপ-বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইবিএফসিআই) ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে ইবিএফসিআই’র ২৬ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি ড. ওয়ালি তছার উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। যে বাংলাদেশ স্বপ্ন ও অপার সম্ভাবনার। যে বাংলাদেশ হবে দুর্নীতি ও হয়রানি মুক্ত। যে বাংলাদেশে দেশী বিদেশী প্রতিটি বিনিয়োগই হবে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। আমি ইবিএফসিআইসহ দেশি-বিদেশি সকল ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারীদের সম্ভাবনাময় এই নতুন বাংলাদেশের পাট, বস্ত্র ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি। উপদেষ্টা জানান, বর্তমান সরকার অত্যন্ত বিনিয়োগবান্ধব। সরকার যেকোনো সেক্টরে বৈদেশিক বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকার কাজ করছে। রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেখানে সহজ বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কাঠামোগত ও আইনগত সংস্কার করা হবে। এ সময় ব্যবসায় প্রতিনিধি দল বিভিন্ন বন্দরে মালামাল খালাসে জটিলতার বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জবাবে তিনি বলেন, কোথাও কোন নিয়মের সুযোগ নেই। বন্দর কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও ব্যবসায়ীদের সাথে কোনো দুর্নীতি অনিয়ম হলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগত ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, পাট, বস্ত্র ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করা হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করা হবে। মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থায় কোনোরূপ কোন অনিয়ম ঘুষ দুর্নীতি ও হয়রানির সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি ও অনিয়মের কোনো অভিযোগ আসলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ছাত্র-জনতার একটি সফল অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তবর্তী কালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে যিনি আছেন তিনি শুধু একজন নোবেল লোরেটই নন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একজন মহান ব্যক্তিত্ব। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সফল নেতৃত্বে গঠিত সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে এখন সুযোগ ও সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার এখনই উপযুক্ত সময়।
Discussion about this post