বিনোদন ডেস্ক: এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ৯টি চলচ্চিত্র উৎসবের চিহ্ন লেগেছে মুক্ত দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ডেজা ভু’র একফোঁটা পানি থেকেই জীব সৃষ্টি, সুতরাং জীবন একটা সমুদ্র। আর এই জীবন সমুদ্র তীরে বসে যদি কেউ নিজের অতীতের সমস্ত হিসাব টানে তবে ভবিষ্যতের অংক মিলে যাবে। কিন্তু সমুদ্র হয়ে যাচ্ছে আক্রান্ত। কেউ কেউ সমুদ্রকে বাঁচাবার চেস্টা করছে। কেননা ৩ ভাগ জল আর এক ভাগ স্থলের এই পৃথিবীতে যদি সমুদ্র প্রতিশোধ নেয় আমরা কোথায় যাবো। এরকমই একটা গুঢ় বিষয় ও প্রেক্ষাপট নিয়েই নির্মিত হয়েছে মুক্ত দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ডেজা ভু’। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে ইন্ডিয়ার ‘দাদা সাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড’ একটা সম্মানজনক ব্যাপার, ডেজা ভু “১২তম দাদা সাহেব ফালকে ২০২২” চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পেয়েছে ‘অনারেবল জুড়ি মেনশন্ড’ অ্যাওয়ার্ড, ফ্রান্সের বিশ্ব কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ডেজা ভু’ জিতেছে বেষ্ট ‘ফিলোসফিক্যাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’, এছাড়া জাপান-ইন্ডিয়া আয়োজিত ‘হোয়াইট ইউনিকর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ থেকে ‘স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছে, ‘স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে স্পেনের ‘এলগ্রিত দি লস সিন ভয’ চলচ্চিত্র উৎসব থেকে। সম্প্রতি ২১টি দেশের চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতার মাঝে অফিশিয়াল সিলেকশনসহ ‘বেষ্ট ফিল্ম এওয়ার্ড নমিনি’ সম্মান পেয়েছে আমেরিকার ‘ইন্ডি শর্ট ফেস্ট- লস এঞ্জেলস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ থেকে। অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে ‘করনাটাক ইয়ুথ ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল’ থেকে, এছাড়াও অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে ‘লিফট অব গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ফিল্ম ফেস্টিভাল’, ‘ফার্স্ট টাইম ফিল্ম মেকার সিজন ২০২২’, ‘ফোর্থ স্ক্রিন অনলাইন ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’ চলচ্চিত্র উৎসবগুলো থেকে। ‘ডেজা ভু’ প্রযোজনা করেছেন ফারাহ নাজ আলম। এর গল্প, সংলাপ, চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও সম্পাদনা করেছেন রায়হান শশী। চিত্র গ্রাহক ছিলেন সাঈদ মুস্তাকিম অনিক, প্রোডাকশন ডিজাইন করেছেন হাসান অয়ন এবং সহযোগী পরিচালক ছিলেন তন্ময় সুর্য্য। সহকারী শিল্প নির্দেশনায় ছিলেন তৌফিক তুয়ান আর দ্বিতীয় ক্যামেরায় ছিলেন প্রদীপ্ত সাহা। ‘ডেজা ভু’ নির্মাণ করেছে উড়ুপ ট্রুপ প্রোডাকশন। পরিচালকের মতে, ‘ডেজা ভু’ চলচ্চিত্রের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর অন্যতম বিষয় হলো ‘নারী ভোগ দখল করার জন্য নয়। নারী, পুরুষের চেয়েও বেশি একজন মানুষ। ‘অপর বিষয়টি হচ্ছে তিন ভাগ জল এবং একভাগ স্থলের এই পৃথিবী, মানুষ যেভাবে সমুদ্রকে দূষিত করছে, যদি কোনো দিন সমুদ্র পৃথিবীর মানুষের ওপর প্রতিশোধ নেয় তাহলে মানুষ কোথায় যাবে।’ এই চলচ্চিত্রে বিবেকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন ইমরান হোসেন, আর জীবনের ভূমিকায় তামিম তপু, মুক্তার চরিত্রে অভিনয় করেছে সুমাইয়া মেহজাবিন মুন। অজানা দ্বীপে থিতু হওয়া জীবনে ইমরানকে দেখা যাবে বিবেকের কথন হয়ে আবির্ভাব হতে। চমৎকার গলায় বিবেকের জীবনমুখী গান আর জীবনের মূল্যবোধ নিয়ে জীবনের সঙ্গে কথোপকথন দর্শককে বিমোহিত করবে। গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোকন আহমেদ এবং উসমান গনি পল্লব।
Discussion about this post