আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩ বছর পর, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সেই একই আদলে একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেলডাঙার মাটিতে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকেই এলাকাটি কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মুসলিম দর্শনার্থী মসজিদ নির্মাণের এই স্থানটি দেখতে আসছেন। ভিড় সামলাতে জেলা পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে এবং সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।অনুদান ও জনসৃষ্ঠি ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই এই মসজিদের অবস্থান হওয়ায় যাতায়াতের সুবিধার কারণে বাসযাত্রীরাও যাত্রা বিরতি দিয়ে এখানে নামাজ আদায় করছেন। বর্তমানে সেখানে গড়ে ওঠা একটি অস্থায়ী মসজিদে মানুষ নিয়মিত নামাজ পড়ছেন।মজার ব্যাপার হলো, এই মসজিদ নির্মাণের জন্য কোনো সরকারি অনুদান নেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ দান করছেন। এমনকি ভিন রাজ্য থেকে অনেকে প্রতীকী হিসেবে একটি-দুটি করে ইট নিয়েও হাজির হচ্ছেন এই মহৎ কর্মে শরিক হতে।অস্থায়ী মেলা ও আবেগ মসজিদ প্রাঙ্গণকে কেন্দ্র করে সেখানে এখন একটি উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাটি অনেকটা মেলা প্রাঙ্গণের রূপ নিয়েছে, যেখানে বাবরি মসজিদের ছবি সম্বলিত স্টিকার ও টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে। আগত দর্শনার্থীরা বলছেন, তারা নিজেদের অর্থায়নে আল্লাহর ঘর নির্মাণ করতে চান এবং এজন্য তারা বিশেষ দোয়াপ্রার্থনাও করছেন। প্রেক্ষাপট ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার স্মরণে ঠিক ৩৩ বছর পর, চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় এই নতুন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। যদিও মূল নির্মাণকাজ কবে নাগাদ পুরোদমে শুরু হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনো জানানো হয়নি, তবে মানুষের আবেগ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই প্রকল্পকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
























































Discussion about this post