বিনোদন ডেস্ক: ২০২০ সালের মার্চে মাত্র তিন টাকা দেনমোহরে চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান রনিকে বিয়ে করেছিলেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। এ নিয়ে সে সময় তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। পরীমনি বিয়ে, দেনমোহর এবং ইসলামী বিধিবিধান নিয়ে তামাশা করছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছিলেন বহু নেটিজেন। যদিও তিন টাকা দেনমোহরের সেই বিয়ে তিন মাসেই ভেঙে গিয়েছিল। এক বছর বাদে ফের একই আলোচনা-সমালোচনা পরীমনিকে ঘিরে। সম্প্রতি এই নায়িকা হঠাৎই তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, তিনি মা হতে চলেছেন। এও জানান, এই সন্তানের বাবা অভিনেতা শরিফুল রাজ। পরে নায়িকা জানান, গত ১৭ অক্টোবর তারা রাজদের আফতাবনগরের বাসায় বিয়ে করেছেন। সেখানে শুধু দুই পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সে সময় পরীমনি আরও জানান, খুব শিগগির তারা ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন। কথা মতো, শনিবার হয়ে গেল সেই আয়োজন। এদিন রাত ১১টায় বনানীতে পরীমনির বাসায় পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে ফের তিনি শরিফুল রাজকে বিয়ে করেছেন। এই বিয়ের দেনমোহর ধার্য হয়েছে মাত্র ১০১ টাকা। বিয়েতে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অতিথি এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের শুরু হয়েছে সমালোচনা। নিন্দায় মেতে উঠেছেন নায়িকার সোশ্যাল মিডিয়ার অনুরাগীরা। মোহাম্মদ সোলাইমান রহমানি নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে ১০১ টাকা বিয়ের দেনমোহর ধার্য করা বৈধ নয়। নারীর জন্য দেনমোহর হল আল্লাহ প্রদত্ত একটি সম্মান। সেটা যে কেউ ইচ্ছা করলেই নষ্ট করতে পারে না।’ উজ্জ্বল হোসেন নামে একজন লিখেছেন, ‘এভাবে দেনমোহর ধার্য করা উচিত নয়। ইসলামে দেনমোহর ধার্য করার সর্বনিম্ন একটা সীমা আছে। বিয়ের ক্ষেত্রে তা অবশ্যই মানতে হবে। যাদের সামর্থ নেই তারা ৫-১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে, আর যাদের সামর্থ আছে তারা করে ১০১ টাকা। এটা ইসলামী বিধানের সঙ্গে মশকরা ছাড়া কিছু নয়।’ তাহমিনা সিদ্দিকী নামে এক নারী নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘শুধুমাত্র আলোচনায় থাকার জন্য পরীমনি বারবার এমন দেনমোহর ধার্য করে চলেছেন। এর আগে তিন টাকা দেনমোহরে বিয়ে করলেন, এবার করলেন ১০১ টাকায়! বিয়ে কি এতই সস্তা হয়ে গেছে নাকি? দেনমোহর নিয়ে এই তামাশার মাধ্যমে পরীমনি গোটা মুসলিম নারী জাতিকে অসম্মান করছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ এ ব্যাপারে কোরআন-হাদিস কী বলছে? সূরা নিসার চার নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন- ‘তোমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নারীদের মোহর দাও।’ ইসলামে সর্বনিম্ন দেনমোহর ১০ দিরহাম বা ৩০.৬১৮ রূপার সমপরিমাণ মূল্য। এর কম হতে পারে না, (বায়হাকি)। ইসলামিক স্কলারদের মতে, যদি ১০ দিরহামের কমে কোনো নারী দেনমোহর নির্ধারণে রাজি হন, তবে তা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।
Discussion about this post