আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বকাঁপানো ত্রাস সৃষ্টিকারী শাসক ছিলেন। অথচ সেই অ্যাডলফ হিটলার ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন, জানেন? হিটলার ইতিহাসের এক ঘৃণিত রাজনীতিক হিসেবে পরিচিতি পেলেও তিনি চিত্রশিল্পী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন। সে যা হোক, মৃত্যুর বহু বছর পেরিয়ে গেলেও হিটলারকে নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই। তাকে জানার আগ্রহেও কমতি নেই মানুষের।জার্মান নাৎসিদের প্রসঙ্গ যখনই উঠে আসে, তখন সবার আগে চোখের সামনে ভেসে ওঠে হিটলারের মুখ। আর একই সঙ্গে ভেসে ওঠে তার গোঁফ। নাকের তলায় ছোট্ট গোঁফ। জার্মান একনায়ক হিসেবে হিটলার যতটা পরিচিত, ঠিক তেমনই পরিচিত তার গোঁফের জন্যও।ইতিহাসের বইয়ের পাতা থেকে শুরু করে সর্বত্র, এই একই ছাঁটের গোঁফ দেখা যায় হিটলারের সব ছবিতে। কেন হিটলার এ রকম গোঁফ রাখতেন? শুরু থেকেই কি এই একটাই ছাঁট ছিল হিটলারের গোঁফের? এসব প্রশ্ন নিশ্চয়ই কখনও না কখনও জেগেছে আপনার মনেও।হিটলারের এই গোঁফ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথাও শোনা যায়। টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদন জানাচ্ছে, হিটলার নাকি তার নরসুন্দরকে কড়া নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন, গোঁফ যেন কোনও ভাবেই কামানো না হয়। শুধু ট্রিম করা হতো তার গোঁফ। এমনকী এমনও শোনা যায়, যেদিন সোভিয়েত বাহিনী বার্লিনে হামলা চালায়, যেদিন তিনি নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন, সেই সময়েও নাকি তার গোঁফ ট্রিম করা হয়েছিল। একনায়ক হিটলারের নির্দেশ বলে কথা! মারা গিয়েছেন তাতে কি, নির্দেশ তো অমান্য করা যায় না। তাই মারা যাওয়ার পরেও নাকি হিটলারের গোঁফ ট্রিম করা হয়েছিল।হিটলারের গোঁফ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে একটি বইয়ে। বইটির নাম—হিটলার’স লাস্ট ডে : মিনিট বাই মিনিট। বইটি লিখেছেন জোনাথন মেয়ো ও এমা ক্রেগ। এই বইতে হিটলারের গোঁফের বিষয়ে বেশ কিছু রোমহর্ষক কাহিনি রয়েছে। সেখানে একটি অংশে বলা আছে, হিটলার যখন আত্মহত্যা করেন, তার ঠিক কয়েক সেকেন্ড পরেই নাকি তাঁর ব্যক্তিগত নাপিত অগস্ত ভোলেনহট গিয়েছিলেন ওই ঘরে। হিটলারের চুল ও গোঁফ ট্রিম করতে গিয়েছিলেন তিনি।হিটলারের যে গোঁফটি এত পরিচিত, সেই একই ধরনের গোঁফ দেখা যায় চার্লি চ্যাপলিন কিংবা ওয়াল্ট ডিজনিরও। এই ধরনের গোঁফকে বলা হয় টুথব্রাশ গোঁফ। গোঁফের ছাঁটের ধরন থেকেই এই নাম। তবে শোনা যায় হিটলারের গোঁফ শুরু থেকেই এ রকম ছিল না। শুরুতে হিটলার নাকি তার বাবার মতো হ্যান্ডেলবার গোঁফ রাখতেন। মানে ওই গোঁফে তা দিয়ে পেঁচানো।হিস্ট্রি চ্যানেলে দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়ার্স নামে এক অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়েছিল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার যখন একজন সৈনিক ছিলেন, তখন তার হ্যান্ডেলবার গোঁফ ছিল। কিন্তু ওই গোঁফ নিয়ে মুখে গ্যাস মাস্ক পরতে সমস্যা হতো। সেই কারণেই নাকি তিনি গোঁফ ছোট করে ফেলেছিলেন। তারপর থেকে এই টুথব্রাশ গোঁফ।
Discussion about this post