স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পরও সন্তুষ্ট নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। বাংলাদেশকে ছোট রানের টার্গেট দিয়েও খেলা শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ানোকে স্বার্থকতা হিসেবে দেখছেন তিনি। টম লাথাম বলেন, ‘আমরা ছোট রানে আটকা পড়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ১০০-১১০ করতে পারব। কিন্তু সেটা করতে পারিনি, এটা বাংলাদেশের ক্রেডিট। আবার শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ চাপ যেভাবে সামলে খেলেছে সেটা প্রশংসার দাবিদার, বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহর ফিনিশিং অনেক ভালো ছিল। আমাদের জন্য সন্তুষ্টির ব্যাপার একটাই যে, ম্যাচটি আমরা শেষ ওভার পর্যন্ত নিতে পেরেছি। দলীয় রানটা কম হলেও উইল ইয়ং ওর জায়গা থেকে অনেক ভালো খেলেছে।’ ইয়ং কিউই দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন। লাথাম আরও বলেন, ‘আমরা খুবই কম বয়সি একটি দল। আসলে এদের কারোরই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার এত অভিজ্ঞতা নেই। সে হিসেবে হার বড় কথা নয়, আমরা তো কিছু হলেও শিখতে পারছি।’ টাইগারদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। ৯৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশের ৩২ রানে ৩ টপ অর্ডার ফিরে যাওয়ার পর ইনিংস মেরামতের কাজে মনোযোগ দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্য প্রান্তে তার সঙ্গী ছিলেন ওপেনার নাঈম শেখ। দু’জন মিলে দেখে-শুনে খেলতে থাকেন কিউই বোলারদের বিপক্ষে। সিঙ্গেল-ডাবলসেই দলকে এগিয়ে নিয়েছেন দু’জন। তবে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিতে হয় ভালোই খেলতে থাকা নাঈমকে। দলের হয়ে নাঈম করেন ২৯ রান। আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান। এছাড়া আফিফ হোসেন করেন ৬ রান। সফরকারী দলের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন এজাজ প্যাটেল। এছাড়া ১টি উইকেট নিয়েছেন কোল ম্যাকঞ্চি। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ফলে সিরিজ জিততে টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯৪ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ব্ল্যাক ক্যাপরা। রানের খাতা খোলার আগেই কিউই শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার নাসুম আহমেদ। ইনিংসের শুরুতেই রাচিন রবীন্দ্রকে শূন্য রানে ফেরান এই ঘূর্ণি জাদুকর। এরপর তার হাত ধরেই দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় টিম বাংলাদেশ। এবার তার শিকার ফিন অ্যালেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচ বানিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান নাসুম। অ্যালেনের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১২ রান। শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে থাকেন টম লাথাম এবং উইল ইয়ং। কিন্তু এই জুটিকে বেশিদূর যেতে দেননি মেহেদি হাসান। ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক লাথামকে। লাথামের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ২১ রান। তবে অন্য প্রান্তে ইয়ং টিকে থাকলেও অন্যরা উইকেটে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন। ২২ গজে আবারও স্পিন ঘুর্ণি নিয়ে আর্বিভূত হন নাসুম আহমেদ। আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন কিউই ব্যাটসম্যানদের জন্য। এই স্পেলে পরপর দুই উইকেট নিয়ে খাদের কিনারে ঠেলে দেন সফরকারীদের। জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। তার বলে ফিরে যান হ্যানরি নিকোলস এবং গ্রান্ডহোম। নিকোলস করেন ১ রান। আর গ্রান্ডহোম শূন্য রানে ফিরে যান। মাত্র ৪ ওভার বল করে ২ মেডেন নিয়ে ১০ রানে ৪ উইকেট নেন নাসুম। এরপর মুস্তাফিজ আর সাইফউদ্দিনের দাপুটে বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে কিউইরা। শেষদিকে আর কোন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান পেরোতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘর। আর তাতেই মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন উইল ইয়ং।
Discussion about this post