ঢাকা: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, শরিফ ওসমান হাদির পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে সরকারের ব্যর্থতা এবং এর ফলে গণরোষে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা কমাতে অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।তিনি আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগাপ্লুত পরিস্থিতিকে পুঁজি করে স্বার্থান্বেষী মহল সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা অবিলম্বে নিশ্চিত করা না গেলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ও জুলাই অভ্যুত্থানের আদর্শ গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরও বলা হয়, অভ্যুত্থানের অন্যতম আইকন শরিফ ওসমান হাদির পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে টিআইবি। একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মুক্ত গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতার ওপর ধ্বংসাত্মক আক্রমণকে রাষ্ট্রের নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত হিসেবে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের মতো গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলা এবং দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে মারা-এসবই মুক্তচিন্তা ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের উদাহরণ। স্বাধীন গণতন্ত্রে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য এবং রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার প্রমাণ।
























































Discussion about this post