ঢাকা: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,এই সরকার স্বেচ্ছাচারিতায় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়াত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। খেসারত হিসাবে আজ দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। এতে সাধারণ জনগণ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে সৈয়দপুরে জেলা বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, এ সরকারের কখনও কোন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হয়নি। হবেও না। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিনা ভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগতের পর আবারও সেই অপচেষ্টার ষড়যন্ত্র করছে। জাতির কাঁধে চেপে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশ রক্ষায় দুর্বার আন্দোলনে তাদের মসনদ তছনছ করে স্বাধীনতার নতুন সূর্যোদয় ঘটাতে হবে। এর জন্য ৭১ ও ৯১ এর মতো সংগ্রাম করতে হবে। তাদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে জনগণ। মানুষ আজ প্রতিবাদের ভাষা ভুলে গেছে। কর্তৃত্ববাদী ও জুলুমবাজ এ সরকার গণমাধ্যমসহ সকলের বাকস্বাধীনতা স্তব্ধ করেছে। তাই তাদের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন,তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাপনা, ইসি পরিবর্তনসহ ১০ ও ২৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে কেবল নির্বাচনে যাবে। সৈয়দপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে মির্জা ফকরুল আরও বলেন, প্রশাসনের লোকজনকে দিয়ে তামাশার নির্বাচন করে আর ক্ষমতা দখল করতে দেয়া হবে না। বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আবারো স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার করা হবে। এতে জাতি ভোট, ভাত ও কথার অধিকার ফিরে পাবে। এজন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে প্রস্তত থাকতে হবে। দীর্ঘ নয় বছর পর বিএনপির সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার এ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দলকে উজ্জীবিত করতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. মো: জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাকশালী শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশ ও জনগণের অধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। না হলে জাতিকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। হুমকির মুখে পড়বে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। আর এ কারণেই দেশ প্রেমিক নাগরিকদের বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। অনেক রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করে সঙ্গে আন্দোলনে নেমেছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আনিস আনসারী, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক বিরোধী দলীয় হুইপ (জাপা) শওকত চৌধুরী, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কার্জন, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী রশিদুল ইসলামসহ সৈয়দপুর ও নীলফামারী জেলা ও উপজেলা, পৌর শাখার নেতারা।
Discussion about this post