আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব এখন কমে এসেছে অনেকটাই। বেশিরভাগ দেশেই এখন নেই লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে চীন ও সিঙ্গাপুরে। দেশ দুটিতে গত ছয় মাসে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। কোভিডের পক্ষে জিরো টলারেন্স নীতির মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতেও দেখা গেছে দেশটিকে। তবে এতসব কঠোর বিধিনিষেধ এবং গ্রাইন্ডিং লকডাউন সত্ত্বেও গত ছয়মাসে চীনের করোনা পরিস্থিতি বেশ নাজেহাল। টাইমস নাউ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের গুয়াংজু প্রদেশ বর্তমানে কোভিড-১৯ এর কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। এমনকি রাজধানী বেইজিংয়েও করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণে অনলাইনে নেওয়া হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। গত ৭ নভেম্বর পর্যন্ত চীনে করোনা সংক্রমণের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ সময় পর্যন্ত দেশটিতে ৭ হাজার ৪৭৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে এক তৃতীয়াংশ রোগীই গুয়াংজু প্রদেশের। শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবিতে জনগণের মধ্যে অস্থিরতার খবরও পাওয়া গেছে। অপরদিকে, সিঙ্গাপুরের অবস্থাও বেশ শোচনীয়। বুধবার পর্যন্ত ৩১৫ করোনা রোগী হাসপাতালে ছিলেন, ২৯ জনের অক্সিজেন পরিপূরক এবং ১৪ জন আইসিইউতে যাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন। সব মিলিয়ে গত সাত দিনে রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৯৯ জন। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ২৪৩। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশটির হাসপাতালের পরিদর্শন আগামী দুই সপ্তাহের জন্য ৩০ মিনিট সময়ে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রোগীদের পরিদর্শনের ক্ষেত্রে শুধু পূর্ব-নির্ধারিত দুইজন দর্শনার্থী অনুমতি পাবেন। এর মধ্যে একজনকে যেকোন সময়ে রোগীর বিছানার পাশে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিয়ম চলমান থাকবে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
Discussion about this post