ঢাকা: হঠাৎ কেউ কেউ পদ্মাসেতু উদ্বোধনের তারিখ বলে বেড়াচ্ছেন- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পদ্মাসেতু উদ্বোধনের চূড়ান্ত তারিখ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দেশের গত ৫০ বছরে সবচেয়ে সৎ রাজনীতিক’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সুসংগঠিত করতে বাংলার পথ-প্রান্তর চষে বেড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে সৎ পরিবারের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর পরিবার অন্যতম। গত ৫০ বছরে সবচেয়ে সৎ রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা শুধু এখন বাংলাদেশের নেতা নন তিনি বিশ্বের নেতা। তার বিকল্প কোনো নেতা নেই, তার বিকল্প তিনি নিজেই।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে ফিরে না আসতেন তাহলে কখনো বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। দেশে কোনো গণতন্ত্র থাকতো না। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না আসলে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়া সম্ভব হতো না। তিনি না থাকলে নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু হতো না।’ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দক্ষতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাঙালি জাতি চায় পদ্মাসেতুর নাম হোক শেখ হাসিনার নামে ৷ শেখ হাসিনার সাহসের সোনালি ফসলের নাম পদ্মাসেতু। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা পদ্মাসেতু জুন মাসে চালু করা হবে। সেই দিক থেকে পদ্মাসেতুর কাজ ৯৮ পারসেন্ট শেষ হয়েছে।’ ‘হঠাৎ কেউ কেউ পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের তারিখ বলে বেড়াচ্ছেন। এতো অধৈর্য হবেন না। পদ্মাসেতু উদ্ধোধন করার জন্য চূড়ান্ত তারিখ দেবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।’ যোগ করেন কাদের। ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে নিয়ে গর্ব করে। কিছু কিছু দল আছে এতো উন্নয়ন অর্জন তাদের ভালো লাগে না।’‘শেখ হাসিনার সামনে পাথর বিছানো পথ; ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যেকোনো লড়াই সংগ্রামে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।
Discussion about this post