নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামে গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি (৩৯) হত্যা কাণ্ডে দীর্ঘ ১৭ বছর পর তার স্বামী মঈন উদ্দিনকে (৪২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। রবিবার বিকালে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামের কাজী বাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করতেন। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে বখাটেদের মধ্যে মঈন উদ্দিন কৌশলে ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাত্র ১ দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন ফাতেমা। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গত ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট ফাতেমাকে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখে মঈন। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া বেগমগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই বছরের ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের মৃতদেহ পানিতে ভাসছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পরদিন তিনি বাদী হয়ে ফাতেমার স্বামী মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, ঘটনার তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে সে ১৬৪ ধারায় নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর জামিনে গিয়ে পালিয়ে যায় সে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
Discussion about this post