বিশেষ প্রতিবেদন :টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় এক বখাটে। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অবশেষে পুলিশ অভিযুক্ত মো. ফরহাদ খানকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে।মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষিতা উপজেলার একটি স্কুলের ছাত্রী।মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউপির পচাসারুটিয়া গ্রামের মো. বাবর আলী খান (৪১) থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন যে, প্রতিবেশী মো. ফরহাদ খান (৫৫) স্কুলছাত্রীর বাবা বাবর আলী খানের অনুপস্থিতে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৪ সালের ১৪ নভেম্বর দুপুর অনুমান ২ টার দিকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই স্কুলছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হতো। এক পর্যয়ে সে গর্ভবতী হয়। গর্ভবতীর বিষয়টি ফরহাদ খানকে জানায় এবং বিয়ের জন্য চাপ দেয় স্কুলছাত্রী। এরপর থেকেই এড়িয়ে চলতে থাকে ধর্ষক। উপায়ান্তর না পেয়ে মেয়েটি তার দাদী বিমলাকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে বাবা বাবর আলী নাগরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে ধর্ষক ফরহাদ আত্মগোপনে ছিল। এদিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পচাসারুটিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে ধর্ষক ফরহাদ খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ফরহাদ খান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সে ৮ মাসের গর্ভবতী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
Discussion about this post