বিশেষ প্রতিনিধি: দেশের সবচেয়ে বেশি চা-বাগান অধ্যুষিত এলাকা মৌলভীবাজার। লক্ষাধিক শ্রমিকের বসবাস এ এলাকায়। করোনা মহামারিতে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এখানকার স্কুলগুলোও ছিল বন্ধ। এতে চা শ্রমিকদের সন্তানরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে যেমন বঞ্চিত ছিল, তেমনি সন্তানদের লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় দিন কেটেছে অভিভাবকদের। তবে, দীর্ঘদিন পর আবারও স্কুল খোলায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। পিছিয়ে পড়া এই জনপদের স্বপ্ন, তাদের সন্তানরাও একদিন শিক্ষার আলোয় উজ্জ্বল করবে ভবিষ্যৎ।দীর্ঘদিন পর স্কুলে যাওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক দিন পর স্কুলে এসে ভাল লাগছে। অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে অনেক দিন পর। খুব আনন্দ লাগছে। এদিকে স্কুল খোলা শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দিত যেন অভিভাবকেরাও। এ বিষয়ে এক অভিভাবক বলেন, স্কুল খোলায় আমাদের দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে। এখন সব নিয়ম (স্বাস্থ্যবিধি) মেনে যদি স্কুল চলে, আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মনোযোগ ফিরিয়ে আনাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকেরা। এ বিষয়ে একজন শিক্ষক বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়েছে। শিক্ষার যে ঘাটতি হয়ে সেটি পূরণে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
মৌলভীবাজারের মাথিউরা চা-বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক অর্জুন গৌড় বলেন, বিদ্যালয় খোলায় শিশুরা যেমন আনন্দিত, আমরাও আনন্দিত। চা বাগানকেন্দ্রিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাজিরা কেমন সেটি খতিয়ে দেখে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। মৌলভীবাজার জেলায় চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য একশো ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
Discussion about this post