রাঙামাটি প্রতিনিধি: পাহাড়ি ও বাঙালিদের সংঘর্ষের পর রাঙামাটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে রাত থেকেই সেনা, বিজিবি এবং পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। টহলের কারণে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাঙামাটি শহরের পরিস্থিতি শান্ত। এদিকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অবরোধ শুরু হয়। অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। শহরের ভেতর কিছু হালকা যান চলাচল করলেও যানবাহন চলাচল সীমিত রয়েছে। এর আগে খাগড়াছড়ির সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে রাঙামাটিতেও। এতে একজনের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। গত বুধবার খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ড এলাকায় গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়ীরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসত বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৫০/৬০টি দোকান। নিহত হয় তিনজন।
Discussion about this post