ঢাকা: করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর হতে বাসায় বসে চিকিৎসা চলছিলো বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার। কিন্তু এরমধ্যে গত কিছুদিন ধরে থেমে থেমে জ্বর আসায় কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার চিকিৎসকরা। পরে তার শারীরিক চেকআপের জন্য গত মঙ্গলবার নেয়া হয় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে। সেদিনই ভর্তি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। চিকিৎসকরা বলছেন, শারীরিক যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে তার রিপোর্ট অনেকটা অস্বাভাবিক। তাই সুস্থতার জন্য কিছুদিন হাসপাতালে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। যদিও দলের এবং খালেদা জিয়ার পরিবার এখনো উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার দাবি করছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অবস্থান বদল হয়নি। চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বেগম জিয়ার শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম। এছাড়া লিভার, কিডনির অবস্থাও অপরিবর্তিত। বৃহস্পতিবার জ্বর এলেও শুক্রবার সেটা কমে গেছে। তবে থেমে থেমে জ্বর আসার কারণ খুঁজছেন চিকিৎসকরা। এদিকে শুক্রবার রাতে ডা. শাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠক করেছে। পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রম কিভাবে করা হবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেছেন চিকিৎসকরা। এই বৈঠকেই শারীরিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তারা। এক্ষেত্রে সূত্রের ভাষ্য, খালেদা জিয়াকে শারীরিক উন্নতির জন্য আরও কিছু দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, চেয়ারপারসননের শারীরিক উন্নতি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। কেবল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা সেগুলো পর্যালোচনা করছেন। আগামী দু’একদিনের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।
Discussion about this post