স্পোর্টস রিপোর্ট: দুইবার বৃষ্টির কারণে ম্যাচ গড়ায় ডিএলএস নিয়মে। তবে শেষ পর্যন্ত নামিবিয়াকে ৪১ রানে হারিয়ে সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড। অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ১০ ওভারে ইংল্যান্ডের করা ৫ উইকেটে ১২২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়া করতে পেরেছে ৩ উইকেটে ৮৪ রান। তবে সুপার এইটে যেতে হলে ইংল্যান্ডকে রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জয় পেলে সুপার এইট নিশ্চিত হবে ইংলিশদের। কোনো কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলেও বাদ পড়তে হবে জস বাটলারের দলকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরুর কথা ছিল ইংল্যান্ড–নামিবিয়া ম্যাচ। সেই ম্যাচ শুরু হলো রাত দুইটায়। ২০ ওভারের ম্যাচ ততক্ষণে হয়ে গেছে ১১ ওভারের। যদি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হতো তাহলে দেশে ফেরার টিকিট কাটতে হতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। দলীয় ২ রানে ওপেনার জস বাটলারের (৪ বলে ০) উইকেট হারানোর পর ১৩ রানের মাথায় ফিল সল্টের (৮ বলে ১১) উইকেটও হারায় ইংলিশরা। এরপর ব্যাটে ঝড় তোলেন জনি বেয়ারেস্টো ও হ্যারি ব্রুক। নামিবিয়ার বোলারদের তুলোধুনো করে ৩০ বলে ৫৬ রানের জুটি করেন তারা। ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস বেয়ারেস্টো আউট হলে জুটি ভাঙে। তৃতীয় উইকেটের জুটি ভাঙলে ইংলিশদের ব্যাটিং ক্ষিপতা যেন আরও বেড়ে যায়। চতুর্থ জুটিতে মঈন আলি আর হ্যারি ব্রুক মিলে করেন ১৩ বলে ৩৮ রান। ৬ বলে ১৬ রান করেন আউট হন অলরাউন্ডার মঈন। এরপর ব্যাট করতে নামা লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ৪ বলে ১৪ রান। ইনিংসের শেষ বলে রানআউটের শিকার হন তিনি। ২০ বলে ৪৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিতই থেকে যান ব্রুক। ১২২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করে নামিবিয়া। রানের চাপ অনেক বেশি হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠতে পারেনি তারা। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান করেন দুই ওপেনার মাইকেল ফন লিনজেন ও নিকোলাস ডেভিন। ১৬ বলে ১৮ রান করে ডেভিন রিটায়ার্ড হার্ট হন। তিনে নেমে ডেভিড ওয়াইজে ১২ বলে ২৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। আর লিনজেন করেন ২৯ বলে ৩৩ রান। শেষ পর্যন্ত নামিবিয়াকে থামতে হয় ৮৪ রানে।
Discussion about this post