আন্তর্জাতিক ডেস্ক:সিরিয়ায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে চীন ও পাকিস্তান। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে দুই দেশের প্রতিনিধিরা সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানিয়ে ইসরায়েলের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।চীনের জাতিসংঘে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি গেং শুয়াং বলেন, ‘ইসরায়েলের এসব হামলা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। এটি সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং দেশটির শান্তি, স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় নতুন জটিলতা তৈরি করছে।’তিনি আরও বলেন, ‘চীন স্পষ্টভাবে এসব কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাই যেন তারা অবিলম্বে সিরিয়ার ওপর সামরিক হামলা বন্ধ করে এবং দখলকৃত সিরীয় ভূখণ্ড থেকে সরে যায়।’এদিকে, পাকিস্তানের জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদও ইসরায়েলের এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘সুয়াইদা, দারা ও দামেস্কের কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা এবং গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি বাহিনীর পুনঃমোতায়েন একটি স্পষ্ট ও ইচ্ছাকৃত উত্তেজনা সৃষ্টির পদক্ষেপ। এটি আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাব এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সরাসরি লঙ্ঘন।’তিনি সিরিয়ায় সদ্য কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রশংসা করে বলেন, ‘দীর্ঘ এক দশকের সংঘাতের পর সিরিয়ার জনগণ এখন শান্তি, মর্যাদা ও পুনর্গঠনের আশায় বুক বাঁধছে। ঠিক এমন এক সময়ে এসব হামলা সেই প্রত্যাশার ওপর আঘাত।’প্রসঙ্গত, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুয়াইদা প্রদেশে সম্প্রতি দ্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল দাবি করে, তারা সিরিয়ার দ্রুজ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্যই এসব হামলা চালিয়েছে।বুধবার ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সিরিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল কমপাউন্ড, জেনারেল স্টাফ সদর দপ্তর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিমান হামলা চালায়। তবে ওই দিনই সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সুয়াইদায় একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা জানায়, যার আওতায় প্রদেশটি আবারও কেন্দ্র সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
Discussion about this post