ঢাকা: নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না জানিয়ে বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের পাতানো কোনো ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না।’ সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর রামপুরায় একটি হাসপাতালে অসুস্থ বিএনপি নেতা আবুল হোসেনকে দেখতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। গত ৮ এপ্রিল অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে হামলায় গুরুতর আহত হন নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বেপারী। আহত বিএনপির এই নেতাকে দেখতে সকালে রামপুরার ওই হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মূলত একটি সন্ত্রাসী দল। এ সরকার সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসী সরকারে পরিণত হয়েছে। জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তার জবাব দেবে। এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যেই জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজকে যদি একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন হয় সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে, তাহলে দেখবেন আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। সেই কারণেই তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে মামলা-মোকদ্দমা, কর্মসূচিগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে চায়।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি তারা যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান না নিয়ে আসে তাহলে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’ ‘আন্দোলন একটাই, সেটা হচ্ছে এই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচন তো আমরা আরও অনেক আগেই বাদ দিয়ে দিয়েছি।’ যোগ করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘র্যাব হচ্ছে রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান তারা সরকারের আজ্ঞাবহ। সরকার তাদের যেভাবে বলছে তারা সেভাবে করছে। র্যাবকে তারা ব্যবহার করছে। এখানে মূল দায়িত্বটা এসে পড়ে সরকারের। এজন্য আমরা সরকারের পদত্যাগসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছি।’ এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post