ঢাকা: যুগপোযোগী যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনার মাধ্যমে গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী যথেষ্ঠ শক্তিশালী ও অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে।বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলা ১০টায় চট্টগ্রামের আর্টিলারি স্কুলে এই পতাকা প্রদানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়েছিলেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ১০টি ইউনিটের কাছে গৌরবময় জাতীয় পতাকা বা ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড হস্তান্তর করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্টকে নতুন পতাকাও তুলে দেওয়া হয়েছে।
সম্মিলিত কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম জানিয়েছেন উপস্থিত বিভিন্ন রেজিমেন্টের চৌকশ কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী শিগগিরই আরও সমৃদ্ধ হবে।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।‘অপারেশন কোভিড শিল্ড’ এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সদস্যগণ করোনা প্রতিরোধকল্পে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান ও মর্যাদা। যা বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।
Discussion about this post