স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলমের নেতৃত্বে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ উপলক্ষে পথযাত্রা শুরু হবে আজ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে সারজিস আলমসহ জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কুড়িগ্রামে এসে পথসভাসহ আন্দোলন শুরু করবেন। এটি কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হলেও তা জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে কুড়িগ্রাম কলেজ মোড়স্থ অফিসার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ এসব কথা জানান। কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম শাখা। এসময় কুড়িগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা ‘মার্চ ফর ফেলানী’ উপলক্ষে পথযাত্রা করবেন। এতে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। প্রেস ব্রিফিংয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরে ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, ‘কুড়িগ্রাম সীমান্তে ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার পর অমানবিকভাবে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়াও সীমান্তে নানাভাবে বিএসএফ মানুষ হত্যা করেই চলেছে। বিগত নতজানু আওয়ামী সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে শাসন আমলে ভারতের এমন হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তাই বর্তমান ছাত্র-জনতার সরকারের আমলে ফেলানী হত্যার বিচারসহ সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে জাতীয়ভাবে আন্দোলন শুরু করা হবে কুড়িগ্রাম থেকে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভারতের এমন সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবি করা হবে। এটি আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে আমরা সরকারের সহায়তায় ভারতকে দাবি জানাব। আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’ এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদসহ এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কুড়িগ্রাম জেলা সংগঠক মুকুল মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ, সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ সাগর ও মুখ্য সংগঠক সাদিকুর রহমান। মার্চ ফর ফেলানি কর্মসূচি সফল করতে স্থানীয় ছাত্র জনতা সাংবাদিকসহ সকল পেশাজীবীদের সহায়তা কামনা করেন নেতারা।
Discussion about this post