ঢাকা: গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারসহ সাম্প্রতিবক সময়ে ঘটা বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনাগুলো নাশকতা কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘গুলিস্তান, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কক্সবাজারের বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে অগ্নিসকাণ্ড ঘটেছে তা বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ঘটিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সরকার। আন্দোলনে ব্যর্থতা যাদের, তারা এখন নাশকতার পথ খুঁজছে কিনা, নাশকতার পথে হাটছেন কিনা সেটাও আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। সেটাই আমরা খতিয়ে দেখছি।’ বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কদের বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালে আমরা দেখেছি বিএনপি যখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয় তারা আগুন সন্ত্রাসে মেতে উঠে। সে সময় তারা ভাঙচুর অগ্নিসন্ত্রাস করে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। এব্যাপারে নিজেরা সতর্ক আছি, দেশবাসী এবং জনগণকে আমরা সতর্ক করছি।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঘটনার পর আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ১০০ বেগ রক্ত দান করেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক নার্সরা আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে।’ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশে নেই। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, এটা আমাদের ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিবস। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ফুল দিয়েছেন। তিনি ছিলেন না, কিন্তু দিনটা কতটা গুরুত্ব দেন এটা তারই প্রমাণ।’ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বিরোধীদল বলছে পাল্টাপাল্টি, আমরা কিন্তু পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করছি না, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। বিএনপির পক্ষ থেকে অশান্তির আশঙ্কায় আমরা শান্তির সমাবেশ করছি। তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে, সেজন্য ক্ষমতায় যেহেতু আমরা আছি, দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের, এটা আমাদের কর্তব্য।’ যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।
Discussion about this post