ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সাম্প্রতিক নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন,নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলে তিনি। এবারের নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক অংশগ্রহণ না হলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় এমন আখ্যায়িত করা যাবে না বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে জনগণের সহযোগিতা কামনা করে ভোটারদের কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসি বলেন, নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাম্প্রতিক নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন। তবে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে যেকোনো সংকট সমাধান সম্ভব বলে জানান তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে পরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, সবশেষ গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে মাঠে নেমেছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার, এপিবিএন এবং কোস্টগার্ড। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাড়ে সাত লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি। এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের বাড়তি ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
Discussion about this post