বিশেষ প্রতিনিধি: নরসিংদী রায়পুরায় সাবেক স্বামীর দেয়া আগুনে মোছাঃ লতা আক্তার (২৭) নামের এক নারী চিকিৎসক দগ্ধ হয়েছে। রবিবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে এই আগুনের ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। তাকে নিয়ে আসা খালু মোঃ ফরহাদ হোসেন জানান,লতা বেশ কিছুদিন আগেশাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বের হয়। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকে দায়িত্ব পালন করে।দুই বছর পূর্বে নিজের পছন্দে মোঃ খলিলুর রহমান নামের এক ছেলের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে।বিয়ের কিছুদিন পরে জানতে পারে ওই ছেলে একজন ড্রাইভার তাকে বলে তুমি আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আমাকে ঠকিয়েছো।এই নিয়ে তার সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায়। আজ এ বিষয় নিয়ে বাসায় এসে তাকে পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়েদিয়ে পালিয়ে যায়।পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে দ্রুত দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল,অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নিয়ে আসলে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, লতার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার মরজাল গ্রামের মফিজুর রহমানের মেয়ে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ওপ্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, নরসিংদী থেকে দগ্ধ অবস্থায় এক নারী চিকিৎসককে দগ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। তার শরীরে ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে আমরা জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।তার অবস্থা আশংকা জনক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিষেধ করে জানান নরসিংদী রায়পুরা থেকে এক নারী চিকিৎসক দগ্ধ হয়ে এসেছে তার শরীরে ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তার অবস্থা অসংখ্যজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক তাকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post